‘দ্রুত লঞ্চটি তীরে ভেড়ালে এত হতাহত হতো না’

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগার পর নৌযানটি দ্রুত তীরে ভেড়ালে এত হতাহতের ঘটনা ঘটতো না বলে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া লঞ্চটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও কার্যকর ছিল না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

রবিবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন্স অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পুড়ে যাওয়া লঞ্চটির বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক বলেন, ‘আগুন লাগার পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ দ্রুত লঞ্চটি নোঙ্গর করে পাড়ে থামিয়ে রাখলে এত লোকের মৃত্যু হতো না, যেহেতু নদী খুব ছোট। কিন্তু লঞ্চ কর্তৃপক্ষ সেটা করেনি, যার কারণে হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে।’

এই কর্মকর্তা জানান, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, তাদের কাজ এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। পুরো তদন্ত শেষ করতে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগবে।

জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে যেটা বলতে পারি, এই লঞ্চের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা তেমন কার্যকর ছিল না এবং যারা দায়িত্বে ছিল, তারা এটা ম্যানেজ করতে পারেনি। আমরা যখন ফায়ার ফাইটিংয়ে আসি, তখন আমরা দেখতে পাই যে, সম্পূর্ণ লঞ্চে আগুন জ্বলছে এবং প্রতিটি ফ্লোরেই আগুন জ্বলছিল। জাহাজের সম্মুখভাগ থেকে পেছনের অংশ ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত সম্পূর্ণ অংশে আগুন জ্বলছিল।’

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এমনিতে নদীর ভেতরে কোনো নৌযানে আগুন লাগলে তা নেভানো সহজ হওয়ার কথা যদি ফায়ার পাম্প ও হোসপাইপের ব্যবস্থা ঠিকঠাক থাকে। কিন্তু অভিযান-১০ লঞ্চের ক্ষেত্রে তা ঘটেনি।’

লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে বলেন, ‘এখানে যারা প্রত্যক্ষদর্শী ছিল এবং যারা আমাদের তথ্য দিতে পারছে, তাদের কাছ থেকে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি এবং এটা পরিদর্শন করছি। এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। আশা করি, দুই সপ্তাহ লাগবে তদন্ত শেষ করতে।’